Header Ads

এখানে আপনার কোম্পানি প্রচার করুন Header ADS

২০২০ সালের সেরা আপডেট আমাজন থেকে আয় করার ৪টি উপায়

আমাজন বর্তমানে বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদনকারী এবং অনলাইন স্ট্রিমিং সার্ভিস কোম্পানী হিসেবেও সফলতা অর্জণ করেছে। যার কারণে আগের চাইতে এখন আমাজন থেকে টাকা আয় করার সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক ।

বহুসংখ্যক দেশে কোম্পানীটি তাদের ওয়্যারহাউজ প্রতিষ্ঠা করেছে। আমেরিকার পাশাপাশি, ইন্ডিয়া, কানাডা, জার্মানি, স্পেনসহ বেশ কিছু দেশে তারা সফলভাবে ব্যবসা করে যাচ্ছে।বই দিয়ে শুরু করলেও অনলাইনে বিক্রির জন্যে প্রোডাক্ট বাছাই করার উপায় হিসেবে সম্ভাব্য সবক’টিই ব্যবহার করে আমাজন আজ বিশাল একটি ব্র্যান্ড।

আমাজনের বিশাল ব্র্যান্ড ভ্যালুর কারণে অন্যান্য ওয়েবসাইটের তুলনায় বেশিরভাগ মানুষই এখান থেকে প্রোডাক্ট কিনছে। এতে একই সাথে কোম্পানী এবং বিক্রেতা উভয়েই লাভবান হচ্ছেন। আসুন আর কথা না বাড়িয়ে দেখে নিই আমাজন থেকে কি কি উপায়ে আয় করা যায়।

পণ্য বিক্রয় করে আয়:
আপনি যদি কোন পণ্য বিক্রয় করে আয় করতে চান, তাহলে আপনার জন্য রয়েছে এফবিএ প্রোগ্রাম। এফবিএ অর্থ হচ্ছে ফুলফিলড বাই আমাজন। এ প্রোগ্রামে আপনি চাইলে পণ্য আমাজনের ওয়্যারহাউজে জমা রাখতে পারেন। পণ্য বিক্রয় হলে কোম্পানী সেটি নিজ দায়িত্বে ওয়্যারহাউজ থেকে ক্রেতার নিকট পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এর জন্য অবশ্য বিক্রেতাকে কিছু ফি পরিশোধ করতে হয়।

অনেকে এই ফি পরিশোধ করতে আগ্রহী নন বলে তারা পণ্য নিজেরাই ডেলিভারীর ব্যবস্থা করতে চান। কিন্তু আপনার পণ্য যদি খুব বেশি বিক্রয় হয় এমন হয়ে থাকে, তাহলে আমার মতে সেটির জন্য অবশ্যই এফবিএ একটি লাভজনক উপায়। সম্প্রতি বাংলাদেশ ভিত্তিক ব্র্যান্ড ওয়াল্টন তাদের পণ্য গ্লোবালি বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে আমাজনের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।

ই-বুক পাবলিশ করে আয়:
যাদের লেখালেখির অভ্যাস আছে, তারা চাইলে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই মার্কেটপ্লেসকে ব্যবহার করে প্রতি মাসে ৪০, ০০০ ডলারেরও বেশি ইনকাম করতে পারেন। ভাবছেন কিভাবে? আমাজন কিন্ডল ডাইরেক্ট পাবলিশের মাধ্যমে আপনার লেখা ই-বুক আপনি আমাজনে বিক্রয় করতে পারবেন। আর এই পদ্ধতিটি অনেক বেশি জনপ্রিয়।

প্রোডাক্ট ফিপিং:
প্রোডাক্ট ফিপিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কম দামে কোন মার্কেটপ্লেস থেকে পণ্য ক্রয় করে সেটা আবার বেশি দামে অন্য মার্কেটপ্লেসে বিক্রয় করা হয়।এই পদ্ধতিতে কাজ করে পণ্য ক্রয় করার জন্য সবচেয়ে ভালো ওয়েবসাইট হচ্ছে ইবে। কাজটি করার জন্য অবশ্যই আপনাকে বিভিন্ন পণ্য এবং সেগুলি কখন ছাড়ে বিক্রয় শুরু হয় তা সম্পর্কে খোঁজ খবর রাখতে হবে।

আমাজন অ্যাফিলিয়েট:
আপনার যদি কোন পণ্য রিভিউ সম্পর্কিত ব্লগ বা ওয়েবসাইট থেকে থাকে, তাহলে এই পদ্ধতিটি আপনার জন্য। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে আয় করার জন্য আপনাকে একজন অ্যাফিলিয়েটর হিসেবে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। তারপর আমাজনে থাকা কয়েক মিলিয়ন প্রোডাক্টের মধ্য থেকে পছন্দের নিশটি বেছে নিয়ে ওয়েবসাইটে সেটি নিয়ে রিভিউ লিখতে হবে। এত প্রোডাক্টের মধ্যে কোন নিশটি নিয়ে কাজ করা লাভজনক হবে, তা জানতে এখনই দেখে নিন অ্যামাজন নিশ রিসার্চ করার জন্য ৫টি কিলার টিপস!

রিভিউ এর পাশাপাশি প্রোডাক্টটি যাতে আমাজন থেকে কেনা যায় তার জন্যে বাটন এবং আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করতে হবে। আপনার ওয়েবসাইট থেকে কোন ভিজিটর যদি লিংকে ক্লিক করে আমাজনে যেয়ে কোন পণ্য কেনে, তবে আপনি ওই পণ্যের জন্য নির্ধারিত অ্যাফিলিয়েট কমিশন পেয়ে যাবেন।

মজার বিষয়টি হলো, যে ভিজিটরকে আপনি আমাজনে পাঠিয়েছেন সে ২৪ ঘন্টার মধ্যে যাই কিনবে, তার কমিশন আপনি পাবেন। সহজে বুঝিয়ে দেই, ধরুন আপনার ওয়েবসাইটে প্যান্ট এর রিভিউ পড়ে কোন ভিজিটর আমাজনে গেল। কিন্তু সে প্যান্ট এর সাথে শার্ট, গেঞ্জিও কিনলো। আপনি সেক্ষেত্রে ৩টি প্রোডাক্টেরই কমিশনই পাবেন। যদি ভিজিটর প্যান্ট না কিনে অন্য কিছুও কেনে, তবুও আপনি কমিশন পাবেন।

নিজেদের ইনকামের পাশাপাশি অন্যরাও যাতে এখান থেকে আয় করতে পারে তার জন্যেও আমাজনের অ্যাফিলিয়েশন প্রোগ্রাম নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। এভাবে চলতে থাকলে সেদিন খুব বেশি দুরে নয়, যেদিন তাদের মোট সম্পদ ১ ট্রিলিয়নেরও বেশিতে দাঁড়াবে। আপনি যদি এই সম্পদ থেকে কিছু কানাকড়ি কুড়িয়ে নিতে চান, তবে উপরে বর্ণিত আমাজন থেকে আয় করার উপায়গুলো থেকে যে-কোনটি বেছে নিন। ধন্যবাদ 

আমার ইউটিউব চ্যানেল টি সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না -

Best Tech Place Bd

Facebook

No comments

Powered by Blogger.